Saturday, February 12, 2011

রাজাকারের স্যাম্পল!!!

গল্পটা এক রাজাকার ও তার সদ্যবিবাহিত ৩য় পক্ষের। বেটা রাজাকারের মেজাজ সব সময় খারাপ থাকে আর সে তার বউ-রে সব সময় ঝারির উপর রাখে। তাই বউডা তারে খুব ডরায়। ইদানীং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বাতাসে ভাসতেছে, তাই তার মেজাজ মর্জি আরও ভয়াবহ। যাই হোক, ওই বেটার একটু জ্বর জ্বর লাগতেছে বইলা সে ডাক্তারের কাছে গেছে। ডাক্তারদের যা কাজ.... যথারীতি তার মূত্র পরীক্ষা করতে দিছে, সাথে একটা স্যাম্পলের বোতল। বাড়িতে ফিরে, ওই বেটা বোতলে হিসি করে, টয়লেটের দরজার কোনায় রাখছে। একটু পর ৩য় বউ টয়লেটে যাওয়া সময় ধাক্কালেগে বোতল গেছে পরে। বউ তো এমনিতেই ভীষণ ভীতু, সে তাড়াতাড়ি বোতলটা নিজের .... দিয়ে ভরে জায়গা মত রেখে দিছে। রাজাকার চাচা পরদিন ডাক্তারের কাছে স্যাম্পল দিলে, ডাক্তার বলছে, ২ দিন পর এসে রিপোর্ট নিয়ে যেতে। চাচা দুই দিন পর যখন ডাক্তার খানায় গেছে, তখন তাদের কনভারসেশন এই রকম:
ডাক্তার (চিন্তিত): এই স্যাম্পল কি আপনার?
চাচা: জ্বি।
ডা: এই স্যাম্পল কি আপনার? (এবার একটু জোরে)
চাচা: আমার না কার? আমি নিজে....ইয়ে করে.... (চাচাও ক্ষেপে গেছে।)
ডাক্তার (মাথা চুলকিয়ে): তাইলে তো আপনি প্রেগন্যান্ট।
(চাচা তো এইবার মহা খাপ্পা)
চাচা: ওই মিয়া মসকারি কর? বেটা ছেলে কখনও .....
ডা: আরে ভাই, দুই দিন হইল নতুন টেস্টিং মেশিন বসাইছি....
চাচা: তাই বইলা ৫০ বছরের জোয়ান বেটারে তুমি ..... ডা: আরে মশাই, আপনি ক্ষেপেন ক্যা? সমস্যা তো আমার, ডাক্তারের, আমি চিন্তা করে পাই না, বাচ্চাটা ডেলিভারি করাব কিভাবে!!!
(অনেক তর্কাতর্কির পর চাচা মোটামুটি কনভিন্সড যে তার বাচ্চা হইলেও হইতে পারে।)
এর পর চাচা বেচারা চিন্তায় চিন্তায় নয়া চাচীর লগে কথা কয় না। রাইতে সোহাগ করে না। চাচী খুব করে চাচারে বলে ওগো তোমার কি হইছে আমারে কও। চাচা তাও কথা কয় না। চাচী এই বার চাচারে গুঁতা দিয়া বলে বুইরার হইছেটা কি? চাচার এমনিতেই টেনশনে অবস্থা খারাপ, চাচীর ভ্যাজর ভ্যাজরে আরো অতিষ্ট হয়ে বলে, হারামজাদী তোরে আগেই কইছিলাম উপরে উঠিস না।