Wednesday, May 11, 2011

অভ্যাস......

কোন এক সিনেমা হলের টিকেট চেকারের একটা মেয়ে টিয়া পাখি ছিল। টিয়াটা কথা বলতে পারতো। মুলত: চেকারকে সাহায্য করার জন্য টিয়াটি কথা বলতো। হলের প্রতিটি শো এর আগে দর্শকরা টিকেট কেটে যখন হলে ঢুকতো তখন টিয়াটি বলত--" একে একে আয়! লাইন ধরে আয়"! তো একদিন হঠাৎ করে টিয়াটি হারিয়ে গেল। বেচারা টিকিট চেকার দুই তিন দিন অনেক খুজেও টিয়ার সন্ধান না পেয়ে আশা ছেড়ে দিল। একদিন সকাল বেলা হাসপাতাল থেকে টিয়ার খবর এলো। চেকার হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালে গেলেন এবং টিয়াকে জিজ্ঞাস করলেন এতদিন তুই কোথায় ছিলি?? টিয়া বলল--" আর বলিস না। তোর এখান থেকে গিয়েছিলাম জঙ্গলে। অনেক ছেলে টিয়া দেখে অভ্যাসবসত ওখানেও বলে ফেললাম "একে একে আয়! লাইন ধরে আয়", তারপর আমি এখানে!!

নতুন শাখা

দারুণ সফল এক যৌনকর্মী গেল ডাক্তারের কাছে। গিয়ে বললো, ডাক্তার আমার শরীরে আরেকটা ফুটো করে দেন?
অবাক হয়ে ডাক্তার জানতে চাইলো, আরেকটা কেন?
মেয়েটা বললো, ব্যবসা খুব ভাল যাচ্ছে, ভাবছি নতুন একটা শাখা খুললে কেমন হয়।

গ্রামের মেয়ে

এক যুবকের ধারণা শহরের মেয়েদের চেয়ে গ্রামের মেয়েদের চরিত্র অনেক ভালো। তাই সে সিধ্দান্ত নিল গ্রামে বিয়ে করবে। করলোও তাই। নতুন বউ নিয়ে শহরে রিক্সায় যাওয়ার সময় এক জায়গায় এসে দেখলো অনেকগুলি মেয়ে দাড়িয়ে বাজে ইংগিত করছে। বউ জিগ্যাসা করলো এরা কারা ?
স্বামী বললো, এরা পতিতা, টাকার বিনিময়ে পুরুষেরা এদেরকে ভোগ করে। স্ত্রী আবার প্রশ্ন করলো, তা কত টাকা পায় এরা?
স্বামী বললো: একশো, দু'শো, পাঁচশো বিভিন্ন রকম রেট আছে। স্ত্রী আশ্চয হয়ে বললো: এত টাকা! তাহলে তো আমার খালাতো ভাইয়ে কাছে আমি অনেক টাকা পাবো।

নেটওয়ার্ক........

এক মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করার পর বলছে, "সেক্সের সময় তুমি আস্ত একটা মোবাইল ফোন হয়ে যাও"

"কেন, কেন? আমি কি খুব বেশী ভাইব্রেট করি?" ছেলে উৎফুল্ল হয়ে বলে।

"না! টানেলের ভেতর ঢুকা মাত্রই তোমার নেটওয়ার্ক চলে যায়...

শয়তান মারা

এক পঞ্চাশ বছর বয়স্ক হুজুর ১৬ বছর বয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করলো। বাসর রাত, হুজুর বয়সের কারনে মেয়েটিকে সরাসরি কিছু বলতে পারছিল না তাই এক বুদ্ধি আটলো।মেয়েটিকে বললো আসো আমরা শয়তান মারি, তারপর শুভ কাজ শুরু করলো।যাইহোক মেয়েটি শয়তান মেরে খুবই আনন্দ পেল এবং আরো শয়তান মারতে চাইলো।এভাবে তারা তিনবার শয়তান মারার পর মেয়েটি আবারও করতে চাইল... কিন্তু হুজুর কাতর কন্ঠে বলল.....এবার তাইলে মুমিন বান্দা মারা যাবে।

বলতে মানা !!!

একবার তিনবোনের একসাথে বিয়ে হলো। তাদের হানিমুনের জন্যও তারা একই যায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করল। কিন্তু মেয়ের মা ঠিক করলেন যে তার এত আদরের তিন মেয়েকে প্রথমেই একা স্বামীর সাথে এতদূর যেতে দেবেন না। তাই উনিও তাদের সাথে গেলেন। হোটেলে পাশাপাশি চাররুমে তিনবোন স্বামীসহ আর মায়ের থাকার ব্যাবস্থা হলো।

রাতে হোটেল নিঃশব্দ হয়ে যাওয়ার পর মা উঠে গিয়ে বড় মেয়ের দরজায় কান পাতলেন। সেখান থেকে মেয়েটার চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো। সন্তুষ্ট হয়ে মা এবার মেজো মেয়ের ঘরের দরজায় কান পাতলেন। সেখানে মেয়েটার খিলখিল হাসি শুনতে পেলেন। এবারও ভ্রুক্ষেপ না করে মা ছোট মেয়ের দরজায় কান রাখলেন। সেখান থেকে কোন শব্দই পেলেন না। চিন্তিত মুখে মা নিজের রুমে ফিরে এলেন।

পরদিন নাস্তা খাওয়ার সময় তিন মেয়েকে তাদের রাতের কথা জিজ্ঞেস করছিলেন তিনি। বড় মেয়েকে সুধালেন, 'তুমি রাতে চিল্লাচ্ছিলে কেন মা?'
'আমার ব্যাথা লাগছিলো' বড় মেয়ে বলে।
মেজো মেয়েকে বললেন, 'তুমি হাসছিলে কেন?'
'আমার সুরসুরি লাগছিলো মা' মেজো মেয়ের জবাব।
তারপর ছোট মেয়ের দিকে ফিরে বললেন, 'আর তোমার ঘর থেকে রাতে কোন শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো না কেন?'
ছোট মেয়ে হাত থেকে পানির গ্লাসটা নামিয়ে বলল, 'কেন মা তুমিই তো বলেছ কোন কিছু খাওয়ার সময় কথা বলতে হয় না'

জীবনে প্রথম

একটি মেয়ের জীবনে প্রথমঃ

আমি শুয়েই শরীর টানটান করে ফেললাম। ভয় ভয়ে ওকে একটু সময় দিতে বললাম। কিন্তু সে আমার কথা কানেও তুলল না।

সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল আমি ভয় পাচ্ছি কিনা। জোরে জোরে মাথা নাড়লাম।

ও এবার কাছে এলো। আমি কেঁপে উঠলাম। ও ধীরে ধীরে এগুলো।

আমার চোখের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে বলল ওর উপর বিশ্বাস রাখতে। ও আগেও এটা অনেকবার করেছে।

ওর মৃদু হাসিতে আমি একটু রিলাক্স হলাম। ও যাতে ভালোভাবে প্রবেশ করে পারে এজন্য আরো খুলে দিলাম। এবার আমি ওকে আরো তাড়াতাড়ি করতে বললাম। কিন্তু ও আমার কথা না শুনে ধীরে ধীরেই আগালো, আমাকে যতটা পারে কম ব্যাথা দিয়ে। ও আরো একটু জোরে চাপ দিতেই ব্যাথা ছড়িয়ে পড়তে লাগলো, আমি ব্যাথায় কুকরে গেলাম। তা দেখে ও শঙ্কিত হয়ে উঠে জিজ্ঞাসা করল ব্যাথা বেশী লাগছে কিনা। আমার চোখ পানিতে ভিজে গিয়েছে, তাও হাত নেড়ে ওকে করে যেতে ইশারা দিলাম। ও প্রবেশ করিয়ে, বের করে আবার প্রবেশ করালো, আমি তখন ব্যাথার উর্ধ্বে। একটু পরেই আমি টের পেলাম আমার ভিতরের ব্যাথাটা যেন কমে আসছে আর ওও ওটা বের করে আনলো। শেষ হতেই আমার সারা মুখে স্বস্তি ফিরে এল।

ও আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললো যে আমি এখন পর্যন্ত ওর দেখা সবচেয়ে সাহসী মেয়ে। দুদুটো দাঁত তুলে ফেলল, অথচ আমি একটুও চিৎকার করিনি।

আমিও মৃদু হেসে ডেন্টিস্টকে ধন্যবাদ দিলাম। কি যত্ন করেই না উনি আমার জীবনে প্রথম দাঁত তুললেন।

এই যে ভাই আপনারা কি ভাবছিলেন?

আসল বাবা

এক মহিলা তার ডাক্তার বন্ধুর সাথে প্রেম চালাচ্ছিল, কিন্তু বেশিদিন হওয়ার আগেই সে গর্ভবতী হয়ে গেল । তো, নয় মাসের সময় ডেলিভারির জন্য সে যখন হাসপাতালে ভর্তি হল অপারেশনের জন্য , তখনি এক পাদ্রিও তার প্রস্টেট অপারেশনের জন্য ভর্তি হলো ,
ডাক্তার তখন তার বান্ধবীকে বলল , ''আমরা পাদ্রীর অপারেশনের পর বলব যে এই বাচ্চাটা আপনার !! '
বান্ধবী বলল , ''কি বল এইসব , সে কি বিশ্বাস করবে ?? ''
ডাক্তার বলল , ''করতেই হবে, কারণ তাকে বলব , এটা একটা মিরাকল''
তো, নির্দিষ্ট দিনে পাদ্রীর প্রস্টেট অপারেশন হয়ে গেল ... তার পরই বান্ধবীর ডেলিভারিও হলো, ডাক্তার বাচ্চাটা পাদ্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে বলল , ''ফাদার , এই নিন আপনার বাচ্চা ''
পাদ্রী তো খুব আশ্চর্য হলেন, বললেন ''এ কিভাবে সম্ভব ?? ''
ডাক্তার বলল, '' ফাদার , আশ্চর্য আমরাও হয়েছি , এটা একটা মিরাকল ... খুব কমই ঘটে ''
পাদ্রী আর কিছু বললেন না।
প্রায় ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে এর মাঝেই , বাচ্চাটাও বড় হয়ে গেছে . একদিন পাদ্রী বাচ্চাটাকে ডাকলেন , বললেন ''তোমাকে কিছু গোপনীয় কথা বলার আছে ...আমি আসলে তোমার বাবা নই '' !!
বাচ্চাটা খুব অবাক হয়ে বলল, ''মানে? তুমি আমার বাবা না ''
পাদ্রী গম্ভীর স্বরে বললেন , "না। আমি তোমার মা , আর্চবিশপ তোমার আসল বাবা ''

পা দুটো আকাশে

ছোট্ট টুকু স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখল উঠানে একটা মুরগি মরে আছে, মরা মুরগির দেহ শক্ত হয়ে পা দুটো আকাশের দিকে মুখ করে আছে। টুকুর বাবা বাসায় ফিরতেই সে তার কাছে ছুটে গেল। ‘আব্বা আব্বা, আমাগো মরা মুরগিটার পা দুইটা আকাশের দিকে খাড়া হইয়া আসে কেন?’
‘ওর আত্মা যেন তাড়াতাড়ি উপরে উইঠা যাইতে পারে’ বাবার জবাব।
কয়েকদিন পর টুকুর আব্বা বাসায় ফিরতে সে আবার দৌড়ে গেল।
‘আব্বা, আব্বা, আইজকা আরেকটু হইলেই আম্মায় মইরা গেসিল’
‘কেন কেন কি হইসে?’ টুকুর বাবা শঙ্কিতভাবে জিজ্ঞাসা করেন।
‘আম্মায় আইজকা হেইদিনের মরা মুরগিটার মত আকাশের দিকে পা তুইলা চিল্লাইতেসিল, ‘আমার হইয়া যাইতেসে, আমার হইয়া যাইতেসে’। রহিম চাচায় যদি খালি আম্মার উপরে উইঠা হেরে বিছানার লগে চাইপা ধইরা না রাখত তাইলে তো আম্মায় গেসিলো……’