Sunday, July 29, 2012

ঘটনা আরো সাংঘাতিক হতে পারত

চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে। এক লোক বললেন, ঘটনা শুনেছেন। গত রাতে আমাদের এলাকার মজনু সাহেব বাড়িতে ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে শুয়ে আছেন। তিনি রাগ দমাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে রিভলবার বের করে গুলি করে দু’জনকেই মেরে নিজেও আত্মহত্যা করলেন।
পাশে বসে থাকা রাকিব সাহেব বললেন, এটা তো তেমন কিছুই নয়, ঘটনা আরো সাংঘাতিক হতে পারত।
লোকটি বললেন, কি বলেন? এক সাথে ট্রিপল ট্রাজেডি, আর আপনি বলছেন কিছুই না, আরো সাংঘাতিক হতে পারত? তো এর চেয়ে আর কি সাংঘাতিক হতে পারত?
রাকিব সাহেবঃ গতকাল যদি সোমবার না হয়ে বৃহস্পতিবার হতো তাহলে ঐ গুলিটা আমাকে খেয়েই মরতে হতো।

জীবনে হতাশা কিভাবে আসে

পদা: গদা, তোর জীবনটা খুব একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে সেটা কখন টের পাবি, বলতো?
গদা: কখন?
পদা: যখন তুই তোর লিঙ্গের সাইজ মাপতে যাবি। আর এই একঘেয়েমির সাথে প্রতিবার নতুন একটা উপসর্গ যোগ হবে।
গদা: সেটা কী?
পদা: হতাশা!

ভদ্রলোকনামা

সত্যিকারের ভদ্রলোক সব সময় মহিলাকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়, যদি বাসাটি হয় ভদ্রলোকের।
সত্যিকারের ভদ্রলোক সব সময় মহিলাকে আগে ঢুকতে দেয়, যদি মহিলার পৃষ্ঠদেশ অনেকটা অনাবৃত থাকে।
সত্যিকারের ভদ্রলোক মহিলার ভারবহনের দৃশ্য সহ্য করতে পারে না। সে চোখ ফিরিয়ে নেয়।
সত্যিকারের ভদ্রলোক স্ত্রীকে ট্রেনে তুলে দিয়ে ট্রেন ছাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে। স্ত্রী চলে গেছে, সেটা সে নিশ্চিত হতে চায়।
সত্যিকারের ভদ্রলোক কখনো মহিলার বয়স জিজ্ঞেস করে না। সে জিজ্ঞেস করে, কবে সে স্কুল পাস করেছে।
সত্যিকারের ভদ্রলোক সব সময় মহিলাকে নিজের জায়গা ছেড়ে দেয়; শ্রেয়তর জায়গা দখল করতে।
সত্যিকারের ভদ্রলোক সব সময় মহিলাকে আদরমাখা নাম ধরে ডাকে, যদি সে মহিলার সত্যিকারের নাম ভুলে যায়।